রয়েল বেঙ্গল কেট

ক্ষোভ (জানুয়ারী ২০১৪)

বিন আরফান.
  • ১৩
  • ৬৮
১৯৯৭ সালে কুয়ালালামপুরের কিলাবকিলাব মাঠে আইসিসির ক্রিকেট ফাইনাল খেলা দেখছিলাম। ঝড় বেগে বৃষ্টির জন্য মাঠ কাদা হয়ে ছিল। এ মাঠে ক্রিকেট নয় হাডুডু ভাল জমবে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যেই চলছিল বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং। বলার বল করার জন্য তেড়ে আসছেন। আকরাম খান তাকিয়ে আছেন আমার দিকে। কিভাবে মারবেন ? ইশারা দিয়ে বললাম, ব্যাটের প্যাড হাতে ধরে ডাণ্ডা দিয়ে বাড়ি দে। তাতে ছক্কা হবে। নচেৎ কাদায় বল গড়াগড়ি করে আটকে থাকবে।

আকরাম সেমতে হেকে উঠল, আফসোস বলার বাঘের মত গর্জে এসে বিড়ালের মত গুটিয়ে কাদায় পিছলে পড়ে গেল।
সেদিন থেকে আমি ক্রিকেট দলের অঘোষিত কোচ। বুলবুল, দূর্জয়, সুজন অনেকেই আমার নিকট খেলা শিখতে আসতেন। মুশফিকুর রহিমতো আমার পিছুই ছাড়েন না।
কতক ভাবছেন, আমি চাপাবাজি করছি। মোটেও না। কর্ণফুলী, পশুর ও পায়রা নদীর ওপর নির্মিত বন্দর যখন সমুদ্র বন্দর হয়! সুদের রাজ্য কায়েম করে ঘরে ঘরে অশান্তির অগুণ জ্বালিয়ে যখন নোবেল লাভ করা যায়!!

আমি অবশ্য ক্রিকেট দলের কোচ হতে চাইনি। ছাত্র জীবনে স্বপ্ন ছিল কোন একটি বিষয়ে গবেষণা করে ডক্টরেট ডিগ্রী নেয়া। তখন সম্ভব হয়নি। ২০০৮ সালে সে সুযোগ হাতে আসে, গবেষণা না করেও পিএচডি লাভ করা যায়। যে প্রতিষ্ঠান পিএইচডি প্রদান করেন, ওই প্রতিষ্ঠান নিয়ে গবেষণা করে দেখলাম, হত দরিদ্র-স্বল্প শিক্ষিত-অভাবী আর হতাশাগ্রস্ত মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকাসহ ভর্তি করাতে হবে। ভর্তির পাল্লা দু’দিকে বেশী হলে আমি পিএইচডি। যেভাবেই হোক, পিএইচডি বলে কথা।

আমি যেকোনো বিষয়ে বেশী পণ্ডিতি করি কিনা? তাই আমার দ্বারা কিছুই করা সম্ভব হয় না। পিএইচডি করাও হয়নি। ভাবতে ভাবতে ডেসটিনির মুখোশ উন্মোচন হয়ে গুটিয়ে গেল। আর বিসিএস ক্যাডার হবার স্বপ্ন ভুলেও দেখিনি। কেন যেন ক্যাডার শব্দটি শুনলেই শরীরে শিহরণ দিয়ে ঝাক্কি মারে।
ক্যাডার হবার দরকারও নেই। ক্রিকেট অঙ্গনের খ্যাতি দিয়ে আগামীতে সংসদ সদস্য হবার বাসনা রাখি। এতে যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। দর্শক মাতানোর কৌশল থাকলেই চলে। যেভাবে গায়িকা-নায়িকারা এসেছেন। কতক সাংসদ মিথ্যুক আর চাপাবাজ। সেই যোগ্যতাও আমার আছে।

আমার এত যশ আর খ্যাতি ধীরে ধীরে সব অঙ্গনে রটে যায়। এ নিয়ে প্রায়ই বিভিন্ন ব্যক্তি, মহল ও মিডিয়ার মুখোমুখি হতে হতো। এতে যেমনি ভাল লাগত তেমনি বিরক্তও হতাম। একদিন খুব ভোরে কলিং বেলের আওয়াজে ঘুম ভাঙ্গে। এত সকালেও ইন্টারভিও!
চোখ কচলাতে কচলাতে দরজা খোলে হতভম্ব হই। থানার দারোগা বলছেন, আপনাকে আমাদের সঙ্গে যেতে হবে। আপনার উন্মাদনা বেড়ে গেছে। নিরুপায় হয়ে রয়েল বেঙ্গল কেটের মত চলতে শুরু করলাম।
এখন জেলে বসে বউডার কথা বারবার মনে পড়ছে। বউয়ের বিয়ের রাতে জানতে চেয়েছিলাম, তিনি আসার সময় কান্দে নাই কি জন্য?
উত্তরে জানায়, তার বুক ফেটে কান্না ঠিকই আসছিল। তার বান্ধবী কাঁদতে মানা করেছিল। কাঁদলে মেকআপ নষ্ট হয়ে ভুরুর কালিতে মুখ হনুমানের মত নাকি দেখাবে। তাই ওই ভয়ে কাঁদেনি।

এদেশের কতিপয় রাজনীতিবিদগণ যেভাবে শকুনের মত থাবা দিয়ে জনতাকে চেপে রেখে দেশটাকে ঠুকড়াচ্ছেন বক্ষণের জন্য। শুধু মুখে বলে না, ভোট না পাবার ভয়ে আর জনগণ বলে না, ক্যাডারদের ভয়ে। কেননা ঘুরে-ফিরে সেই অমায়িক চোদা ভদ্র নেতারাই ক্ষমতায় আসেন। তখন বউডার মত আমাদেরও মেকআপ নষ্ট হয়ে না ফেরার দেশে যেতে হতে পারে!!!

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সূর্য রম্য করার তালে ঠিকই আমাদের অতি উৎসাহীপনার দিকটা দেখিয়েছো। সবই ঠিক আছে। শেষের দিকে একটা শব্দ গলার কাঁটা হয়ে রইলো।
ভালো লাগেনি ২৮ জানুয়ারী, ২০১৪
সরি ভাই , লেখার সময় রাগের বহির্প্রকাশে এসেগেছে. শব্দটা বাদ দিলে শ্রুতি মধুর হত. ধরে নিতে পারেন সেটা ভদ্র ভাষার গালি. ভালো থাকবেন
ভালো লাগেনি ৩১ জানুয়ারী, ২০১৪
সাদিয়া সুলতানা ভোট দেয়ার পূর্বে অন্তত দশটি গল্পকবিতা পড়ুন তারপর মান অনুযায়ী ভোট দিন । নতুবা আপনি ভালো লেখকের সাথে বেইনসাফি করলেন । এতে তারা নিরুত্সাহিত হবে । সবচেয়ে বড় কথা বিচারকরা পরকালে কঠিন বিচারের সম্মুখীন হবে ।...........আপনার প্রোফাইল বক্তব্যটি দারুণ। দশটির অধিক লেখা পড়ে এসেই মন্তব্য করছি। মজা লেগেছে.......শুভকামনা।
ভালো লাগেনি ২৭ জানুয়ারী, ২০১৪
আন্তরিক ধন্যবাদ , আমার মন্তব্যে কষ্ট নিবেন না.
ভালো লাগেনি ২৭ জানুয়ারী, ২০১৪
এশরার লতিফ ভালো লাগলো রম্য গল্পটি।
ভালো লাগেনি ২৬ জানুয়ারী, ২০১৪
অন্তর মাশঊদ ভালো লাগলো
ভালো লাগেনি ২১ জানুয়ারী, ২০১৪
ধন্যবাদ
ভালো লাগেনি ২৬ জানুয়ারী, ২০১৪
মোঃ মহিউদ্দীন সান্‌তু চমৎকার লাগলো, রস মাখানো ক্ষোভ। অনেক ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ১৭ জানুয়ারী, ২০১৪
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নিন।
ভালো লাগেনি ২৬ জানুয়ারী, ২০১৪
ঐশিকা বসু ছোট্টর মধ্যে খুব সুন্দর লিখেছেন তো। শুভেচ্ছা নিন।
ভালো লাগেনি ১৩ জানুয়ারী, ২০১৪
ধন্যবাদ
ভালো লাগেনি ২৫ জানুয়ারী, ২০১৪
এফ, আই , জুয়েল # বেশ বাহারী একটি গল্প । অনেক সুন্দর । ধন্যবাদ ।।
ভালো লাগেনি ১২ জানুয়ারী, ২০১৪
আপনাকে গল্পে পেয়ে আমি মুগ্ধ , আপনার জন্য শুভেচ্ছা !
ভালো লাগেনি ১৮ জানুয়ারী, ২০১৪
Rumana Sobhan Porag খুব মজা আর আনন্দ সহকারে পরে শেষ করলাম!অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো.
ভালো লাগেনি ৯ জানুয়ারী, ২০১৪
আপনাকেও
ভালো লাগেনি ১৪ জানুয়ারী, ২০১৪
সকাল রয় অনবদ্য!
ভালো লাগেনি ৮ জানুয়ারী, ২০১৪
ধন্যবাদ
ভালো লাগেনি ১৩ জানুয়ারী, ২০১৪
মোঃ আক্তারুজ্জামান অনন্য, অনবদ্য| বাস্তবতার দারুন চিত্র| অনেক শুভেচ্ছা থাকলো|
ভালো লাগেনি ৫ জানুয়ারী, ২০১৪
শুভেচ্ছা পেলাম, ভেবেছিলাম ভাবির হাতের পিঠা খাওয়ার দাওয়াতটাও পাব. তবে হতাশ নই, আশায় রইলাম. @ আক্তারুজ্জামান ভাই
ভালো লাগেনি ১০ জানুয়ারী, ২০১৪

০১ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ২৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪